বাংলাদেশে বাড়ছে মব সন্ত্রাস

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশ্রয়েই দেশজুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ চলছে। জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামিক ছাত্র শিবির ছাড়াও মব সন্ত্রাস বা গণপিটুনিতে অভিযুক্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে উঠে আসা জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি। বাংলাদেশে মাজার, বাউল আখড়া, আদিবাসী ও ভিন্নমতের মানুষদের ওপর হামলা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ও ম্যুরাল ভাঙার চেষ্টা বন্ধের কোনও লক্ষণ নেই। জিনিষের দাম আকাশছোঁয়া। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ধুঁকছে। বাড়ছে দারিদ্রতা, চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি।

অনেকেই মনে করেন, এনসিপি মাঠ দখলের কৌশল হিসাবেই মব সংস্কৃতি চালু করেছে। মব সন্ত্রাসকে সমর্থন করে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘মব সর্বকালে বাংলাদেশে ছিল, এটা ৭২ সাল থেকেই শুরু হয়েছে। এবং এখন পর্যন্ত এটা কন্টিনিউ করছে’। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) চেয়ারম্যান ফ্রাঁসোয়া ভালেরিয়াঁও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের কর্মীদের হয়রানি ও হুমকি এবং সহিংস পরিবেশে বাংলাদেশে সংস্কার টিকতে পারবে না’। যুক্তরাজ্যের এমপি উইল ফ্রস্টারের মতে, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। আইনের শাসন নেই। ধর্মীয় সন্ত্রাসের হাত থেকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতেই হবে’। মব সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। সেনাবাহিনীর মুখেও শোনা গিয়েছে একই কথা। তবু চলছে মব সন্ত্রাস। গত সপ্তাহেই ভোলায় ঘরে ঢুকে মাওলানা আমিনুল হক নোমানী (৪৫) নামে এক মসজিদের খতিব ও মাদরাসা শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রাজবাড়ির গোয়ালন্দে 'তৌহিদি জনতা' পরিচয়ে নুরুল হক ওরফে 'নুরাল পাগলার' বাড়ি ও দরবার শরিফে হামলার খবর পাওয়া গেছে। নুরালের লাশ কবর থেকে তুলে আগুনে পোড়ানো হয়। সন্ত্রাস বন্ধের কোনও লক্ষণ নেই। বরং বাংলাদেশ পুলিশই এখন মবের ভয়ে কাবু।

আমিনুল ইসলাম, ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর

Address

3721 2nd Street
Saltlake Sector V, Kolkata 700 091

Contacts

+91 98300 71925
Contract.subhendu.etv@gmail.com