হাওড়ার জলযন্ত্রণাঃ পুরসভার গাফিলতি ও সমাধানের খোঁজে
ট্রেন্ডিংপশ্চিমবঙ্গ


পুরসভার গাফিলতিতে জলযন্ত্রণার শিকার হাওড়া শহরের বাসিন্দারা
হাওড়া পুরসভার এক বিস্তির্ণ এলাকা কার্যত জলের তলায়। কোথাও দুয়ার পর্যন্ত কোথাও বা বাড়ির ভিতর পর্যন্ত জল ঢুকে পড়ছে। স্কুল, কলেজ, অফিস কাছারি যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে। একই সঙ্গে জমা জলের সাথে ভেসে আসা নোংরা আবর্জনায় ছড়াচ্ছে দুষণ। ছড়াচ্ছে সাপের আতঙ্ক। পুরসভার পক্ষ থেকে জল বের করার চেষ্টা করা হলেও বারবার ব্যর্থ হতে হয়েছে
কেনও ব্যর্থ হচ্ছে পুরসভা
জল না বেরনোর জন্য পুরসভাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে নিকাশী ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়নি। পলি পড়ে রয়েছে নর্দমা ও খালগুলিতে। ফলে জল বেরোতে পারছে না। দ্বিতীয়ত, নিয়ম না মেনে বিভিন্ন জায়রায় রাস্তা মেরামতসহ বিভিন্ন রকমের সংস্কারমূলক কাজ করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। যার ফলে জল বেরনোর পথে বাধা সৃষ্টি হয়েছে
কেনও এরকম কাজ হলো?
এলাকার মানুষের অভিযোগ, সাত বছর ধরে নির্বাচন হয়নি হাওড়া পুরসভায়। প্রশাসকমণ্ডলী দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। ফলে ব্যর্থতার দায় কেউ নিতে চাইছে না। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার পরিস্থিতির কথা জানানো হলেও দায়সারা উত্তরই পাওয়া যায়
ভবিষ্যতে সমস্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা
এলাকার মানুষের মতে বর্ষা এখনো শেষ হয়নি। আগে থেকে জমা জল এখনও বেরোতে পারেনি। এরপরে বৃষ্টি হলে দুর্গতি আরও বাড়বে
হাওড়া পুরসভার তরফ থেকে নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরানোর হাজার চেষ্টা করলেও গোড়ায় গলদ রয়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদের। বিশেষ করে যে খালগুলো জমা জল নিস্কাশনে সহায়তা করবে, সেগুলো সংস্কার করা হয়নি বহু বছর। তারফলে সমস্যা আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। এদিকে হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে অনেক সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের লেনগুলো অল্প বিস্তর উঁচু করে কংক্রিটের করা হয়েছে। আবার কখনো সদা ব্যস্ত ভাঙাচোরা কঙ্কালসার রোডের ওপর কোথাও খাপছাড়া গোছের ঢালাই কিম্বা তালি দেওয়া গোছের পিচ দিয়ে দায় সারা রকমের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এখনও বর্ষার বৃষ্টি শুরু না হলেও সামান্য বৃদ্ধি হলেই জলে জলমগ্ন হয়ে পড়ছে হাওড়া পুরসভার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এলাকা। রোডের ধারে বড়ো বড়ো নর্দমার ওপরে স্রাব দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ফলে দিনের পর দিন অবস্থা আরো ঘোরালো হয়ে উঠেছে। আসন্ন বর্ষায় হাওড়ার অধিকাংশ এলাকার অবস্থা যে চরমে পৌঁছোবে একথা বলাই বাহুল্য এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একটা বড়ো অংশ। যদিও প্রায় সাত বছর হয়ে গেলো হাওড়া পুরসভার কোনো নির্বাচন হয়নি। প্রসাশক মন্ডলী দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দায়ভার কারোরই নেই এটা ধরেই নিয়েছেন হাওড়া পুর এলাকায় বসবাসকারী মানুষ জনেরা। বিষয়টি নিয়ে হাওড়ার জনগণ বার বার পুর কতৃপক্ষের কাছে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই নিকাশির অভাবে জল যন্ত্রনাই এখানে দস্তুর। নারায়ণ রতন দত্ত/ হাওড়া
বর্ষায় হাওড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল যন্ত্রনাই দস্তুর। অভিযোগ ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের
হাওড়া পুরসভার তরফ থেকে নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরানোর হাজার চেষ্টা করলেও গোড়ায় গলদ রয়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদের। বিশেষ করে যে খালগুলো জমা জল নিস্কাশনে সহায়তা করবে, সেগুলো সংস্কার করা হয়নি বহু বছর। তারফলে সমস্যা আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। এদিকে হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে অনেক সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের লেনগুলো অল্প বিস্তর উঁচু করে কংক্রিটের করা হয়েছে। আবার কখনো সদা ব্যস্ত ভাঙাচোরা কঙ্কালসার রোডের ওপর কোথাও খাপছাড়া গোছের ঢালাই কিম্বা তালি দেওয়া গোছের পিচ দিয়ে দায় সারা রকমের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এখনও বর্ষার বৃষ্টি শুরু না হলেও সামান্য বৃদ্ধি হলেই জলে জলমগ্ন হয়ে পড়ছে হাওড়া পুরসভার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এলাকা। রোডের ধারে বড়ো বড়ো নর্দমার ওপরে স্রাব দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ফলে দিনের পর দিন অবস্থা আরো ঘোরালো হয়ে উঠেছে। আসন্ন বর্ষায় হাওড়ার অধিকাংশ এলাকার অবস্থা যে চরমে পৌঁছোবে একথা বলাই বাহুল্য এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একটা বড়ো অংশ। যদিও প্রায় সাত বছর হয়ে গেলো হাওড়া পুরসভার কোনো নির্বাচন হয়নি। প্রসাশক মন্ডলী দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দায়ভার কারোরই নেই এটা ধরেই নিয়েছেন হাওড়া পুর এলাকায় বসবাসকারী মানুষ জনেরা। বিষয়টি নিয়ে হাওড়ার জনগণ বার বার পুর কতৃপক্ষের কাছে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই নিকাশির অভাবে জল যন্ত্রনাই এখানে দস্তুর।
নারায়ণ রতন দত্ত/ হাওড়া