অর্জুন সিংহের বাড়ির কাছে গুলি চালানো ও বোমাবাজির অভিযোগ, উৎসবের মধ্যেও উত্তেজনা


পুজোর মধ্যেও উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল। এখানে মেঘনা মোড়ে মজদুর ভবনে থাকেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। সোমবার মধ্যরাতে এখানেই বোমা-বন্দুক নিয়ে আক্রমণ চালায় একদল দুস্কৃতী। এরকমই অভিযোগ অর্জুনের। সিসিটিভি ফুটেজেও এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। (এর সত্যতা যাচাই করেনি 'শর্টহ্যান্ড') তিনি জানান, যে তাঁর বাড়ি-অফিসকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোঁড়ে এবং গুলি চালায়। অভিযোগ, স্থানীয় একটি পুজো মণ্ডপের কাছে একদল 'বহিরাগত' এসে স্থানীয়দের কটূক্তি করতে শুরু করে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি দ্রুত অশান্ত হয়ে ওঠে। এরপরেই সেখানে প্রথমে বোমা ও পরে গুলি চালানো হয়। একই সঙ্গে একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও রাজনৈতিক উস্কানির অভিযোগ অর্জুনের
ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানান, রাত ১টা নাগাদ যখন তিনি টিভি দেখছিলেন, তখন আচমকাই বাইরে হৈচৈ শোনা যায়। সেখানে দেখা যায়, পুলিশ কিছু লোককে বোঝানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার বদলে, তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। শুধু তাই নয় পুলিশের বাইকের সামনে বোমা ফেলা হয়ে সেখান থেকে পুলিশ পালিয়ে যায়। এরপরেই বিজেপি নেতা সঞ্জয় সিংহের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।" এরপর তিনি দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করেন বলে দাবি করেন অর্জুন। তবে এটা নিছকই দুষ্কৃতীদের হামলা নয়। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তাঁর দাবি। উৎসবের মধ্যে হিংসা ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার পরিকল্পনা ছিলো। তিনি বলেন, "বাংলায় বিজেপিকে দমন করার জন্য ছক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি জিহাদিরা পুজো মণ্ডপে ঢুকে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি করে, তবে তার প্রতিক্রিয়া হবে। এটাই চাইছে তৃণমূল।" বিজেপি নেতার দাবি, "এটি পরিকল্পিত ঘটনা। যদি আমি না যেতাম, তাহলে পুলিশও গুলিবিদ্ধ হতে পারতো। নিচু স্তরের পুলিশ সত্যিই সমস্যায় পড়েছে।"
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়ন
এ ঘটনার পর, পুলিশ এবং 'র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স' (RAF) মোতায়ন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুস্কৃতী চিহ্নিত করতে ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর
Address
3721 2nd Street
Saltlake Sector V, Kolkata 700 091
Contacts
+91 98300 71925
Contract.subhendu.etv@gmail.com