উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি: মমতা-বিজেপির রাজনৈতিক টানাপোড়েন, সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক


উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ একাধিক জেলায় কমপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। মিরিক শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে সেতু ধসে পড়ায় এলাকাগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভুটানের জলাধার থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের মতো জেলায় বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন এবং আজ উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং উদ্ধারকার্যের খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করে বলছে যে, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো তহবিল বরাদ্দ করা হয়নি এবং ভারত-ভুটান নদী কমিশন গঠনের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ করে বলেছেন যে, তিনি অতীতের দুর্যোগ যেমন আম্ফান থেকে কিছু শিখেননি এবং উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের মধ্যে কলকাতায় দুর্গাপূজা কার্নিভালে অংশ নিয়ে অসংবেদনশীলতা দেখিয়েছেন। বিজেপি দাবি করছে যে, তাদের কর্মীরা খাদ্য, ওষুধ এবং সাহায্য নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। শমীক ভট্টাচার্য উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন এবং রাজ্য সরকারকে 'রাজ্য বিপর্যয়' ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।
এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। বাড়িঘর ধসে পড়া, রাস্তা বিচ্ছিন্নতা এবং খাদ্য-জলের অভাবে হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয়রা বলছেন, রাজনীতির পরিবর্তে দ্রুত উদ্ধার এবং পুনর্বাসনের প্রয়োজন। এনডিআরএফ এবং সেনাবাহিনী উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে, কিন্তু ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও প্রস্তুতির অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
রাজ্য সরকার ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করেছে এবং সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও কয়েকদিন লাগতে পারে।
Address
3721 2nd Street
Saltlake Sector V, Kolkata 700 091
Contacts
+91 98300 71925
Contract.subhendu.etv@gmail.com