লক্ষ্মী পুজোর লক্ষ্মীছাড়া বাজার, কপাল পুড়লো মধ্যবিত্তের


দুর্গাপুজোর পরপরই চলে আসে লক্ষ্মী পুজো। দুর্গাপুজোর খরচের ঝক্কি সামলেও বাঙালি লক্ষ্মী পুজোয় কখনো কোনও কার্পণ্য করে না। কিন্তু বাজারের যদি এই হাল হয় তাহলে কী উপায়? দুর্গাপুজো কমিটি, বাজার কমিটি-র বাইরে প্রায় প্রত্যেকেই বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো করে থাকে। কিন্তু পুজো হবে কী দিয়ে? বাজারে তো আগুন লেগেছে। কোনও কিছুতেই হাতে দিতে গেলে ছ্যাঁকা লাগছে। ফল, ফুল থেকে সবজি হঠাৎ করে দাম বেড়ে গিয়েছে সবকিছুরই। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে নম নম করেই সারতে হচ্ছে পুজো
কী অবস্থা বাজারের?
লক্ষ্মী পুজোর প্রধান উপকরণ ধানের শীষ। কিন্তু এক বান্ডিল ধানের শীষের দাম শুরুই হয়েছে ৪০টাকা থেকে। নারকেল নাড়ু ছাড়া কী লক্ষ্মীপুজো কল্পনা করা যায়? নাড়ুই তো লক্ষ্মী পুজোর প্রধান প্রসাদ। কিন্তু নাড়ু তৈরি হবে কী দিয়ে? ছোট্ট সাইজের একটা নাড়কেল। তার দাম শুরু ৬০ টাকা। এরপর সাইজ যত বাড়বে গ্রাহকের পকেটও তত কাটা যাবে। মিস্টির মধ্যে চন্দ্রপুলি ২০ টাকা পিস। নারকেল ছাপা ১৫ টাকা। তালের আঁটি ২০ টাকা জোড়া। এবার ফলের বাজার দেখা যাক। শশা ১২০ টাকা কিলো। আপেল ৩০০ টাকা। পানিফল ৬০ টাকা কিলো। ফুলের বাজারেও হাত লাগালেও কাঁটা ফুটবে। ছোট সাইজের একপিস পদ্মফুলের দামও ৪০ টাকা। গাঁদা ও রজনীগন্ধার ছোট মালার দাম শুরু প্রতি পিস ২৫ টাকা
কার লক্ষ্মীলাভ? কার সর্বনাশ?
এইসব দেখে হয়তো বাজারের দোকানদারের উপর খুব রাগ হচ্ছে। মনে হচ্ছে গ্রাহকের পকেট মেরে সে রাতারাতি বড়লোক হতে চাইছে? তাহলে সেটা ভুল ভাবা হবে। কারণ তাঁকেও অনেক বেশি দাম দিয়ে মহাজনের কাছ থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। আসলে লাগাতার বৃষ্টির ফলে চাষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কাঁচামালের যোগানও অনেক কমে গিয়েছে। তার উপর এই পরিস্থিতিতে কালোবাজারির কারবারিরা সুযোগ নিয়ে থাকে। সবমিলিয়ে লক্ষ্মী পুজোর বাজারে আগুন লাগায় সমস্যায় সাধারণ মানুষ
নারায়ণ রতন দত্ত, হাওড়া
Address
3721 2nd Street
Saltlake Sector V, Kolkata 700 091
Contacts
+91 98300 71925
Contract.subhendu.etv@gmail.com