এইবার সত্যিই রেগে গেলেন কুণাল ঘোষ, কিন্তু কেনও?

হঠাৎ করেই সবকিছু ওলট পালট হয়ে গেলো। সব কর্মসূচি কাটছাঁট করে ত্রিপুরা ছুটতে হচ্ছে কুণাল ঘোষকে। সঙ্গে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলও।

সব মিলিয়ে মোট ছ’জনের দল পাঠাচ্ছে তৃণমূল। সেই দলে থাকছেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, যাদবপুরের সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবং টিএমসিপি নেতা সুদীপ রাহা।

কেনও তড়িঘড়ি ত্রিপুরা যাত্রা?

মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি ভাইরাল হতে শুরু করে। তাতে দেখা যায় তৃণমূলের একটা পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। পরে জানা যায় ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় তৃণমূলের রাজ্য দফতরে এই হামলা। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘বাংলায় ব্যালট বাক্সে তৃণমূলকে হারাতে পারেনি বিজেপি। যেখানে তারা ক্ষমতায়, সেখানে হিংসা ছড়াচ্ছে। ত্রিপুরা পুলিশের চোখের সামনে ত্রিপুরায় ওরা আমাদের দফতর ভাঙচুর করেছে। তাদের প্রতিশোধমূলক এবং আইন-শৃঙ্খলাবিহীন মানসিকতারই পরিচয় দিয়েছে।’’

তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতর

সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আক্রান্ত হন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তাঁদের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। রক্তাক্ত খগেনের ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার আগরতলার বনমালিপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই বিক্ষোভ মিছিল থেকেই তাদের ত্রিপুরার রাজ্য কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ খারিজ করেছে।

যা জানালেন কুণাল ঘোষ

খগেন আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাকে রাজনৈতিক সৌজন্য দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন কুণাল। কিন্তু ত্রিপুরায় পার্টি অফিসে ভাঙচুরের খবর আসতেই এর প্রতিবাদ করে ফের পোস্ট করেে তিনি। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে গেলেন তারপরেও ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে হামলা করে ভেঙে দিল বিজেপি তীব্র প্রতিবাদ রইল।" এরপর ত্রিপুরা যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সাথে মিলিত হন তিনি। তিনি বলেন, "বিজেপির নেতারা এলাকায় যান না। সঙ্গে কোন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাননি। শুধু ছবি তোলাতে গিয়েছেন। মানুষ রেগে গিয়েছে। কিন্তু রাগের বহিঃপ্রকাশের পদ্ধতি আমরা সমর্থন করি না। মুখ্যমন্ত্রী নিজে খগেন বাবুকে দেখতে গিয়েছেন তারপরেও যেভাবে হামলা হয়েছে তার জন্য এই টিম যাচ্ছে। অতীতে ওখানে আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কনভয়-তে হামলা হয়েছে।" এরপরে তিনি বলেন, "আমরা যাচ্ছি হেঁটে। আমরা 'ডেডবডি' হয়েও ফিরতে পারি। তার মানে এই নয় যে তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরা তাদের দায়িত্ব পালন করবে না। কাল থেকে পোস্ট চলছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওখানে দক্ষিণী সিনেমার স্টাইলে থানা আক্রমণ করে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চায়। কোনক্রমে থানায় বসে প্রাণ বাঁচাতে হয়। যে ভয়ংকর সন্ত্রাসটা আমরা অতীতে দেখেছি আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয় গতকাল আমাদের পার্টি অফিস যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে আমরা ওখানে যাব সহযোদ্ধাদের সাথে কথা বলব। আরো কিছু কর্মসূচি দল বলেছে আমরা সেগুলো করার চেষ্টা করব।"

Address

3721 2nd Street
Saltlake Sector V, Kolkata 700 091

Contacts

+91 98300 71925
Contract.subhendu.etv@gmail.com